আবুধাবি টি-টেন লিগে হতাশাজনকভাবে যাত্রা শুরু করেছে সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বাধীন বাংলা টাইগার্স। দলটি স্যাম্প আর্মির কাছে ৬ উইকেটের ব্যবধানে হেরে যায়। প্রথমে ব্যাট করে টাইগার্সরা ১ উইকেট হারিয়ে ১০৬ রান সংগ্রহ করে। তবে স্যাম্প আর্মি ৪ উইকেট হারিয়েই ৯.৩ ওভারে লক্ষ্যে পৌঁছে যায়।
১০৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে স্যাম্প আর্মি শুরুতেই সমস্যায় পড়ে। তারা ৩৪ রানের মধ্যেই টপ অর্ডারের দুই ব্যাটারকে হারায়। তবে আন্দ্রে গুয়েস এবং জ্যাক টেইলরের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ম্যাচের চিত্র পাল্টে যায়। গুয়েস ২৪ রান ১৩ বলে করেন, আর টেইলর ২৭ রান ১৩ বলে করে অপরাজিত থেকে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন।
বাংলা টাইগার্সের হয়ে বল হাতে উজ্জ্বল ছিলেন সাকিব আল হাসান। তিনি ১৫ রান দিয়েছেন ২ ওভারে এবং ২ টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট নিয়েছেন । বিশেষ করে ফাফ ডু প্লেসিসকে আউট করার বলটি নিয়ে বেশ আলোচনা হচ্ছে। ডু প্লেসিসকে আউট করার আগে সাকিব প্রথম দুটি বল করেছিলেন ৯০ ও ৯১ কিমি গতিতে। এরপর হঠাৎই বলের ফ্লাইট ও গতি বদলে দেন, যা ডু প্লেসিসকে বিভ্রান্ত করে উইকেট এনে দেয়।
টি-টেন লিগে পরাজয়ের সঙ্গে বিতর্কে জড়ালেন সাকিব আল হাসান
তবে সাকিবের এই ম্যাচে বোলিং অ্যাকশন নতুন বিতর্ক তৈরি করেছে। ম্যাচ চলাকালে তার বোলিং অ্যাকশন অনেকটাই কাউন্টি ক্রিকেটের সময়ের সেই অ্যাকশনের মতো মনে হয়েছে, যা এক সময় আম্পায়ারদের দ্বারা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছিল। যদিও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সাকিব এই অ্যাকশন পরিবর্তন করেছিলেন, তবে টি-টেন লিগে এমন বোলিং করার কারণে তার অ্যাকশন নিয়ে আবার আলোচনা শুরু হয়েছে।
এটি উল্লেখ করা গুরুত্বপূর্ণ যে, লিগ ক্রিকেট এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মনিটরিং ব্যবস্থা আলাদা। লিগে বোলিং অ্যাকশন তেমনভাবে যাচাই করা না হলেও, বায়োমেকানিক্যাল পরীক্ষায় যদি সাকিবের অ্যাকশন অবৈধ প্রমাণিত হয়, তবে আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী তাকে নিষিদ্ধ হতে হতে পারে।
সাকিবের এই বোলিং অ্যাকশন নিয়ে আইসিসি এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত দেয়নি। তবে বিষয়টি নিয়ে যদি তদন্ত শুরু হয়, তাহলে এটি সাকিবের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে।