বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) একাদশ আসর প্রায় ঘনিয়ে এসেছে । এই মৌসুমের প্লেয়ার ড্রাফট হবে ১৪ই অক্টোবর। প্লেয়ার ক্যাটাগরি এবং মূল্য তালিকা ইতিমধ্যেই ঘোষণা করা হয়েছে। এই বছরের বিপিএলের প্লেয়ার্স ড্রাফটে এ, বি, সি, ডি, ই এবং এফ এই ছয়টি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে ১৮৮ জন স্থানীয় ক্রিকেটারদের। সর্বোচ্চ ৬০ লাখ টাকার পারিশ্রমিকের বিপরীতে সর্বনিম্ন পারিশ্রমিক আছে ১০ লাখ টাকা
বিপিএলের অন্যতম সেরা অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। যে মানুষটি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানকে তিনটি শিরোপা এনে দিয়েছেন। আসন্ন বিপিএলে ‘সি’ ক্যাটাগরিতে থাকবেন তিনি। ইমরুল কাইস এই গ্রেডিং সিস্টেম নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন ।
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) এক ফেসবুক পোস্টে তিনি এই গ্রেডিংয়ের মানদণ্ড নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি জানতে চেয়েছিলেন এই র্যাঙ্কিং কি জাতীয় দলের অভিজ্ঞতা, ঘরোয়া লিগে পারফরম্যান্স নাকি শুধু সুনামের ভিত্তিতে?গত বিপিএলে দারুণ ভালো খেলা অনেকে প্লেয়ার সি গ্রেডে আর বছরজুড়ে যারা ক্রিকেটের আশেপাশে থাকেন না তারা কি করে বি গ্রেডে জায়গা পান, এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কায়েস।
পোস্টে, তিনি জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন কারণ তিনি ২০১৮-১৯ মৌসুমে কুমিল্লার হয়ে বিপিএলে ভাল পারফর্ম করতে ব্যর্থ হন। আর ২০১৯-২০ চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স মৌসুমে ১৩ ম্যাচে ৪৪২ রান করেও তিনি জাতীয় দলে সুযোগ পাননি।
তিনি জিজ্ঞাসা করেছিলেন, যদি বিপিএলে পারফর্ম না করেন তবে আপনাকে বাদ পড়তে হবে, তবে আপনি যদি করেন তবে তার সঠিক মূল্যায়ন কি হচ্ছে?’ প্রতি বছর বিপিএল শুরুর আগে ও সময় এ ধরনের বিতর্ক দেখা দেয়। এবারের শুরুটা হয়তো ইমরুল কায়েসের এই পোস্টের মধ্য দিয়েই।